Ticker

6/recent/ticker-posts

বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২২ | how to create a bkash account

 

বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২২

বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম


মোবাইল ব্যাংকিংয়ের বদৌলতে বর্তমান বাজারে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে বিকাশ, নগদ এর মতো অ্যাপগুলো। বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম খুবেই সহজ এবং যে কেউ পারবে। একজন গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ অথবা এজেন্ট এর কাছ থেকে নতুন বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন। এছাড়াও বিকাশের ওয়েবসাইট bkash.com থেকেও ঘরে বসেই বিকাশ হিসাব বা লেনদেন এর একাউন্ট খোলা যায়৷ এছাড়াও বিকাশ এজেন্ট অথবা কাস্টমার কেয়ারে গিয়েও বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়।

প্রথমে আমারা জেনে নিবো বিকাশ কি?

বিকাশ হলো ব্রাক ব্যাংক এর একটি মোবাইল ভিত্তিক লেনদেন এর বিশেষ ব্যাবস্থা। বিকাশ বাংলাদেশে ২০১১ সাল থেকে সেবা দিয়ে আসছে। বর্তমানে বিকাশ ব্যাবহার করে বিদেশ থেকে রেমিটেন্স ও আনার মত সুবিধা পাওয়া যায়।

বিকাশ একাউন্ট খোলার সুবিধা গুলো জেনে নেই

বর্তমানে একটি বিকাশ একাউন্ট থাকার রয়েছে বিভিন্ন ধরনের  সুবিধা। ঘরে বসেই বিকাশ একাউন্ট খুলে বিকাশ এপের মাধ্যমে  উপভোগ করা যাবে বিকাশ এর সকল সুবিধা। বিকাশ একাউন্ট খোলার সুবিধা গুলো নিচে দেওয়া হলোঃ

  • টাকা জমা করাঃ বিকাশ একটি ডিজিটাল মানিব্যাগ  হিসেবে কাজ করে। ব্যাংকবিহীন ক্যাশ সিস্টেম হওয়ায় বিকাশে টাকা জমা করা যায় খুব  সহজ
  • টাকা পাঠানোঃ বিকাশ ব্যাবহার করে টাকা পাঠানো যায় দেশের জেকোনো প্রান্তে খুব সহজে এবং খুব অল্প সময়ের
  • টাকা তোলাঃ বিকাশ ব্যাবহার করে টাকা তোলা যায় খুব সহজে এজেন্ট অথবা এটিএম থেকে। এক্ষেত্রে ক্যাশ আউট এর জন্য খরচ বহন করা প্রয়োজন হয়।
  • মোবাইল রিচার্জঃ বিকাশ ব্যাবহার করে আপনি জেকোনো মুহুর্তে আপনার মোবাইলে টাকা রিচার্জ করতে পারবেন খুব সহজে এবং এর জন্য কোনো চার্জ দিতে হবে না।
  • কেনাকাটাঃ বিকাশ এর মাধ্যমে আপনি জেকোনো পন্যের মুল্য পরিশোধ করতে পারবেন এবং ইনটারনেট থেকে কেনাকাটা করার সময় বিল পরিশোধ করতে পারবেন।
  • অন্যান্যঃ বিকাশ ব্যবহার করে রেলের টিকিট , বিদেশ থেকে রেমিটেন্স আনা সহ বিভিন্য কাজ খুব সহজেই করা যায়।
  • বিকাশ অফারঃ বিকাশ বিভিন্ন সময়ে অফার দিয়ে থাকে। বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে বিকাশ অফার দিয়ে থাকে।

বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।

 

অ্যান্ড্রয়েড অথবা আইওস এর যে কোনো প্লাটফর্মেই বিকাশ ব্যাবহার করা যাবে।

বিকাশ একাউন্ট খুলার জন্য যা দরকার

  • একটি মোবাইল নাম্বার , সচল হতে হবে।
  • অবস্যই ইনটারনেট সংযোগ থাকতে হবে
  • মোবাইলে বিকাশ অ্যাপ ইনস্টল করা থাকা লাগবে
  • জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)
  • কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (এজেন্ট এর ক্ষেত্রে)

ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে বিকাশ অ্যাাপ ইনস্টল করে নিন। তারপর নিচের স্টেপ গুলো অনুসরন করুন।

  • প্রথমে বিকাশ অ্যাপ ওপেন করুন তারপর  লগ ইন/রেজিষ্ট্রেশনবাটনে ক্লিক করুন
  • লগ ইন/রেজিষ্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করার পরে যে পেজ আসবে সে পেজে যে নাম্বার দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান, সে নাম্বারটি প্রবেশ করান তারপঅর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন
  • এরপর আপনার মোবাইল নাম্বারটির অপারেটর সিলেক্ট করুন। যদি বাংলালিঙ্ক হয় তাইলে বাংলালিঙ্ক সিলেক্ট করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন
  • তারপর আপনার নামবারে একটি ভেরিফিকেসন কোট নাম্বার পাঠানো হবে
  • কোড চলে আসলে কোড টি দিয়ে ফেরিফিকেসন করুন
  • এরপর জাতিয় পরিচয়পত্রের উপরের দিক এর ফটো তুলে আপলোড করুন
  • এরপর অপর দিকের ফটো তুলে সাবমিট করুন
  • এরপর জার আইডি কার্ড দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলবেন তার সেলফি তুলে ভেরিফিকেসন করতে হবে।
  • এরপর আপনার চেহারার ছবি তুলে আপলোড দিলেই হয়ে যাবে বিকাশ একাউন্ট খোলা

বিকাশ এজেন্ট কি তা জানবো এখন?

 

বিকাশ সেবার প্রতিনিধিগন এই হলেন বিকাশ এজেন্ট। বিকাশ এজেন্ট টাকা উঠানো , ক্যাশ ইন ক্যাশ আউট , বিল প্রদান এর এবং একাউন্ট খোলার কাজ করে থাকেন। তারা নির্দিস্ট হারে টাকা পেয়ে থাকেন।

বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে?

বিকাশ এজেন্ট হতে কোনো টাকা লাগেনা। লেনদেন করার মত টাকা থাকলেই বিকাশ এজেন্ট হওয়া যায়। তবে আপনার ট্রেড লাইসেন্স থাকা লাগবে। ট্রেড লাইসেন্স আছে এমন যে কেও বিকাশ এজেন্ট হতে পারবেন

 

বিকাশ এজেন্ট হতে কি কি কাগজ দরকার?

বিকাশ এর মাধ্যমে ব্যাবসা করতে হলে আপনাকে যে কাগজ অথবা ডুকুমেন্ট লাগবে তা নিচে দেওয়া হলো

  • এজেন্ট হতে ইচ্ছুক ব্যাক্তির কপি ছবি
  • জাতীয় পরিচয়পত্র / পাসপোর্ট / ড্রাইভিং লাইসেন্স।
  • ট্রেড লাইসেন্স মেয়াদ সহ।
  • ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের নাম ঠিকানা
  • যোগাযোগের নম্বার ঠিকানা

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিকাশ এজেন্ট হতে চাইলে সকল তথ্য ও ডুকুমেন্ট সহকারে কাস্টমার কেয়ারে জোকাজোগ করতে হবে । বিকাশ এর অফিস এ  ফর্ম ফিলাপের মাধ্যমে এজেন্ট হওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে। এছাড়াও এই ফর্মটি ফিল-আপ করার মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট তৈরীর জন্য।

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট কি?

ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এ  লেনদেন পরিচালনা করতে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ব্যবহার করা হয়। বিকাশ পারসোনাল অর্থাৎ ব্যাক্তিগত একাউন্টে এবং মার্চেন্ট একাউন্টের অনেক তফাত রয়েছে। ব্যাক্তিগত একাউন্টের চেয়ে বেশ কিছু অনন্য সুবিধা পাওয়া যায় বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টে।

বিকাশ মার্চেট একাউন্ট খুলার জন্য জা জা দরকার?

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য নিচের দেওয়া ডুকুমেন্ট দরকার হয়

  • একটি মোবাইল ফোন
  • জাতীয় পরিচয়পত্র
  • কপি ছবি
  • প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স

বিকাশ মার্চেট একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আবেদন করা যাবে। আবেদন করার পর বিকাশ আফিস থেকে কল করে প্রয়োজনিয় কাগজ নিয়ে অফিসে জমা দিলে মার্চেন্ট একাউন্ট খোলা হয়ে যাবে।